চারদিকের শীতল আবহাওয়ায় বাড়ছে শীতের আমেজ। সে সঙ্গে মুখো রোচকদের আকৃষ্ট করছে গরম গরম চিতই আর ভাপা পিঠা। শীতের এ আমেজে লক্ষ্মীপুরের ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় জমতে শুরু করেছে। কয়েক ধরনের ভর্তা দিয়ে পিঠার কদর সব বয়সীদের মাঝেই দেখা যায়।
শীত এলেই বাজারে বাজারে কদর বাড়ে ভাপা ও চিতই পিঠার। গ্রামের বাড়িগুলোতেও ধুম পড়ে পিঠা তৈরির। নানান নামের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে গ্রামীণ বধূরা। তবে বাজার কিংবা শহরের মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানে দাড়িয়ে পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। চায়ের দোকানের পাশাপাশি পিঠার দোকানগুলো ঘিরে জমে উঠে বন্ধুদের আড্ডা।
রোববার (২২ নভেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্য প্যাকেট করে বাড়িতে পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে বিনামূল্যে পাওয়া শুটকি ও সরিষার ভর্তা।
একই চিত্র দেখা যায় লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী, বাগবাড়ি মোড়, ঝুমুর মোড়, বাজারের সংযোগ ব্রিজ ও তমিজ মার্কেটের সামনেসহ বেশ কয়েকটি স্থানে। বেশির ভাগই চিতই আর ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন। আবার কোথাও কোথাও থাকছে পাটিসাপটা পিঠাও।
পিঠা খেতে আসা যুবক আব্দুল আওয়াল খোকন জানান, গত কয়েকদিন এতো ঠান্ডা পড়েনি। শীতে গরম পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। দামও তেমন না। চিতই ও ভাপা পিঠা প্রতিটি ১০ টাকা করে।
দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় আব্দুর রহমান ও তার দুই ছেলেকে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। ছোট ছেলে লক্ষ্মীপুরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাবা চিতই পিঠা বানালেও এক ছেলেকে ভাপা পিঠা বানাতে দেখা যায়। আবার আরেক ছেলে সবার কাছ থেকে টাকা বুঝে নেয়।
কথা হয় আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'রোববারই প্রথম পিঠা বিক্রি করা শুরু করেছি। আগামী ৩ মাস প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করবো। আমরা ভাপা পিঠা হরেক রকম পদ্ধতিতে তৈরি করি। ক্রেতা বেশি থাকলে দৈনিক ৪-৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। সন্ধ্যা নামতেই ক্রেতাদের সমাগম হয়। পিঠার সাথে সরিষা বাটাসহ কয়েক ধরনের ভর্তা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।