সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেফতার ৪

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-27 00:07:58

রংপুরের তারাগঞ্জে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামি ধর্ষক মিঠুনকে সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোজাম্মেল হক মোজার ছেলে মিঠুন মিয়া, জবান আলীর ছেলে নাসিম, আব্দুল মজিদের ছেলে আল আমিন, আব্দুল আজিতের ছেলে নুরুজ্জামান। এদের সকলের বাড়ি তারাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।

এদিকে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর কাজীপাড়া গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক মিঠুন মিয়া (২৮)। সে পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর আদর্শপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মোজার ছেলে। ঘটনার দিন রাতে অসুস্থ স্বজনকে হাসপাতালে দেখতে যাবার সুযোগে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে ধর্ষকেরা।

এদিকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় হয়। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়াতে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মধ্য রাত থেকে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মূল হোতা মিঠুন মিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি ইসমাইল হোসেন।।

তিনি আরো জানান, আসামি মিঠুন মিয়া ছদ্মনাম সবুজ নাম ব্যবহার করে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঘটনার দিন সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সে ও তার সঙ্গীরা মেয়েটি ধর্ষণ করে।

এদিকে ভিকটিমের বাবা মোকসেদুল কাজী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, মিঠুনের বর্তমানে দুই স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। চারমাস পূর্বে ভুয়া পরিচয়ে আমার মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই সুযোগ নিয়ে গত (৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে মিঠুন ও তার সঙ্গীরা। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর