দেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ টিকাদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গণ টিকাদানের শুরুতেই পাবেন সম্মুখ সারিতে থাকা বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। তবে, তার আগে টিকা পেতে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এজন্য ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু টিকা নিতে আগ্রহীদের অনলাইন নিবন্ধনে সাড়া কম বলে জানা গেছে।
সরকার প্রথম মাসেই ৬০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা প্রদান করতে চেয়েছিল কিন্তু সংশোধন করে তা কমিয়ে ৩৫ লাখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম মাসে যারা টিকা পাবেন, তারা তৃতীয় মাসে গিয়ে আবার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন।
গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টিকা পেতে সম্মুখ সারিতে থাকা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশারসহ ৮০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
যা সংশোধিত ৩৫ লাখ ডোজের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ কোভাক্স প্রোগ্রামের আওতায় দেশটিতে ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিবন্ধন কম হওয়ার বিষয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। এই কারণে হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন যে, তার আর করোনা হবে না। এই জন্যে টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তবে সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য আমরা উৎসাহিত করছি। তবে, প্রথম দিকে নিবন্ধনের হার কিছুটা কম থাকলেও গত কয়েকদিনে তা বেড়েছে।
টিকা নিতে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেছেন, 'অনেকে হয়তো ঠিকমতো অনলাইনে টিকা নেওয়ার আবেদন করতে পারছেন না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন বিভিন্ন টিকার কার্যক্রমে বা স্বাস্থ্য সেবা দিতে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যান, তারা এদের টিকার নিবন্ধন করতে সহায়তা করবেন।
তিনি জানান, এর বাইরে গ্রাম বা ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্রে যারা কাজ করেন, তারাও টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবেন।
যেভাবে করতে হবে অনলাইনে নিবন্ধন:
টিকা পেতে আগ্রহীরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। নিবন্ধনের পর সেখান থেকেই জানা যাবে, কবে কখন টিকা নিতে হবে।
১৮ বছরের কম বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না। কারণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি।