কুমিল্লায় পুলিশের একটন মাদক উদ্ধারের মাইলফলক অর্জন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা | 2023-09-01 07:12:11

কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে গত ২ জানুয়ারি যোগদান করেছিলেন ফারুক আহমেদ। তিনি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর ৪৮ দিনের মধ্যে পুলিশের সদস্যরা একটন মাদক উদ্ধারের মাইলফলক অর্জন করেছে। আর ৫০ দিনের মধ্যে মাদকের সঙ্গে জড়িত ৪১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদক উদ্ধার, মাদকে জড়িতদের গ্রেফতার, বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সজিব খানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

‘একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। গত ২ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাদকে জড়িত থাকায় ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪১৫ জনকে। আর ৪৮দিনে মোট একটন গাঁজা উদ্ধারের মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। মোট ৫০ দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ৪৬ কেজি গাঁজা, ইয়াবা ১৮ হাজার ৪১৪ পিস, ফেন্সিডিল ৪ হাজার ৭০৫ বোতল, দেশীয় মদ ৩১৭ লিটার, বিদেশী মদ, বিয়ার ও নেশাজাতীয় সিরাফ প্রায় ৬৩৯ বোতল। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা।

আসামি গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত জানুয়ারি মাসে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০টি। যেখানে গত বছরের জানুয়ারিতে হয়েছিলো ৮৬০টি। এক্ষেত্র বৃদ্ধির হার ৫১ শতাংশ। এই সময়ে সাজা পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২১০টি। গত বছরের জানুয়ারিতে হয়েছিলো ১০০টি। এক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১১৩ শতাংশ।

পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ আরও বলেন, তবে এসব অর্জনে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা এই কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে চাই। মাদক উদ্ধারের অভিযানকে আরও বেগবান করতে চাই। প্রতিটি থানা এলাকায় মাদকে জড়িতদের আলাদা তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমরা দু’টি লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছি। এক, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিনে আনা। দুই, আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মাদকের চালান, ব্যবসা ও সেবন শূন্যে নামিয়ে আনা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর