লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অবশেষে পালাতক ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) মধ্যে রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার থেকে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হাফিজুল ইসলাম বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ইউপি সদস্য। তিনি হত্যার ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।
জানা গেছে, রংপুর থেকে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বুড়িমারীতে বেড়াতে আসেন জুয়েল ও সুলতান। বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন তারা। আর সেখানে কুরআন ও ধর্ম অববনার গুজব ছড়িয়ে জুয়েল ও সুলতান মারধর করেন স্থানীয়রা। এর এক পর্যায়ে জুয়লকে পিটিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। আর সেই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে পালাতক ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। হাফিজুল ইসলাম এতোদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, আত্বগোপনে থাকা ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এ দিকে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ সে সময়ের কর্মরত ইউএনও কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছেন ডিসি আবু জাফর। এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ১৩ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
এর আগে গত রবিবার ২১ মার্চ দায়িত্বে অবহেলা করেছে এমন অভিযোগ তুলে ইউএনও কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে একটি গণবিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর। যার স্বরক নং-০৫. ৪৭. ৫২০০. ০০১. ০১. ০০০৫. ২১. ৬১।