সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকালে পলিথিন ও কাগজসহ বিভিন্ন বর্জ্যপদার্থ ফেলে নোংরা করে ফেলা হয়। তাই ভবিষ্যতে এখানে সমাবেশ করতে হলে জামানত দিতে হবে। ওই জামানতের টাকা দিয়ে উদ্যান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
১ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্জ্যপদার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে হলে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।
গণপূর্ত মন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মিরপুরের স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যুয়োরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনসহ বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বাসাবাড়ির কঠিন বর্জ্য পৃথক করে তা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে এবং অবশিষ্টাংশ থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্প, ঝিলমিল এপার্টমেন্ট প্রকল্প ও পূর্বাচলেও অনুরূপ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস পালন করা হয়। এ বছরে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মিউনিসিপ্যাল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ যার বাংলারূপ দেয়া হয়েছে ‘পৌর এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।’
এর আগে দিনের প্রথম প্রহরে বিশ্ব বসতি দিবস পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের কর্মচারী, রিহ্যাব এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্ত্বর, কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।