রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে সুমন মিয়া (৪৩), সুমনের ছেলে সুরুজ (২৩), মৃত শুকটু মিয়ার ছেলে নওশা মিয়া (২৫) ও নওশা মিয়ার ছেলে রাসেল (১৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের রহিম বাদশার স্ত্রী চামেলি বেগম স্থানীয় গ্রাম্যসালিস বৈঠকে একই গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে সুমন ও সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সুমন ও সুরুজ মধ্যযুগীয় কায়দায় চামেলি বেগমকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হাত বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।
এ ঘটনায় সোমবার নির্যাতিতার স্বামী রহিম বাদশা বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেসহ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে।
কাবিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, গৃহবধূ চামেলি বেগম এখনও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ পেয়ে রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।