দেশে করোনায় মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু এটি। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ৯০২ জনে।
এছাড়া একই সময়ে নতুন করে আরও ১২ হাজার ৭৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার ২৪১, মঙ্গলবার ২৩৫, সোমবার ২৪৬, রোববার ২৩১, শনিবার ২১৮ ও শুক্রবার ২১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৫২২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৯৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৮টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৮৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫৬, রাজশাহীতে ১৯, খুলনায় ৩৫, বরিশালে ১৬, সিলেটে ২৩, রংপুরে ১৮ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
নারী-পুরুষ হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ এবং ১২৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১৯ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৬৮৪ জন এবং নারী ৭ হাজার ২১৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫, ১১ থেকে ২০ বছরের ১ ও ১০ জনের কম বয়সী ১ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া যায়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।