নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রসবের সময় যমজ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া নার্স দিয়ে প্রসব করানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জমজ নবজাতকের স্বজনরা জানান, অন্তঃস্বত্ত্বা মাহিনূরের বাসা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রঘুনাথপুরে। তার ব্যাথা উঠার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় আমেনা নামে এক নার্সের মাধ্যমে প্রসব সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এ বিষয়ে নবজাতকের পিতা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ডেলিভারির পর আমরা প্রথমে অন্য হাসপাতালে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দেড় ঘন্টার মতো বাচ্চাদের এই হাসপাতালেই রেখেছেন। এতে আমার এক বাচ্চা এ ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করে। এ সময় আরেক বাচ্চাকে পাশ্ববর্তী সিদ্ধিরগঞ্জের লিংক রোডের প্রো-অ্যাকটিভ ক্লিনিকে নেয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা আমার এক বাচ্চার চিকিৎসা করাতে দেরি করায় একজনের মৃত্যু হয়। তবে প্রো-এ্যাকটিভ ক্লিনিকের ডাক্তারারা তাদের দায়িত্ব অবহেলার কথা অস্বীকার করে আমারা বাচ্চাকে দেরিতে আনায় এক বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা আমদের জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে আইনে ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। আমরা কোনো ঝামেলায় যেতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক আবুল বাসার নার্স দিয়ে ডেলিভারি করানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাহিনূর ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। তাছাড়া বাচ্চার পা বের হয়ে যাচ্ছিল। ডেলিভারি না করালে বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের জীবন সঙ্কটে ছিল। এ কারণে আমরা তাদের অনুমতি নিয়েই ডেলিভারি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাজেদা বেগম ও ওই নার্স আমেনার মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুজ্জামান জানান, নবজাতকের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।