বাল্যবিয়ে বন্ধে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়ার পরেও এসবের তোয়াক্কা না করে শুধু অক্টোবর মাসেই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে এক হাজার ২৪৩ জন কন্যাশিশু। গবেষকরা মনে করছেন, দরিদ্রতা, পারিবারিক ও সামাজিক অসচেতনতার কারণে বাল্যবিয়ে এখনও হচ্ছে।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের এ তথ্য জানা যায়। এ ছাড়া এ সময় এক হাজার ৩৮০ জন কন্যাশিশু এবং ২২৩ জন নারী, অর্থাৎ মোট এক হাজার ৬০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদ সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, মেয়েদের ওপর বাল্যবিয়ের দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক প্রভাব পড়ে, যা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। উন্নয়নশীল বিশ্বে গর্ভ ও সন্তানধারণের জটিলতা অল্প বয়সে নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ মনে করা হয়। এ অবস্থায় দেশে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে মেয়েশিশুর পরিবারকেই আগে সচেতন করতে হবে।