উচ্চ আদালতের নির্দেশে রংপুরের বদরগঞ্জে ২৩ বছর পর অন্যের দখলে থাকা কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেয়েছেন গণেশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। এ সময় জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গণেশ শর্মাকে জমি বুঝে দেন রংপুরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনুকা ভৌমিক। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ পৌরশহরের কথাকলি সড়কের পাশে ১৯৯৮ সালে গণেশ শর্মার তিন শতাংশ পৈত্রিক জমি জবর-দখল করে নেন আবু বক্কর নামে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তার পরিবারের লোকজন ওই জমি মনু নামে অপর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
এ ঘটনায় ২৩ বছর আগে পৈতৃক সস্পত্তির দখল বুঝে পেতে আদালতে মামলা করেন গনেশ শর্মা। পরে মামলাটি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে গনেশ শর্মাকে জমি বুঝে দেওয়ার জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে বদরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক জমির প্রকৃত মালিক গণেশ শর্মাকে জমি বুঝে দেওয়ার আদেশ জারি করেন ।
পরে মঙ্গলবার ওই জমির ওপর থাকা তিনটি দোকান উচ্ছেদ করে গণেশ শর্মাকে বুঝে দেয়া হয়।
গণেশ শর্মা বলেন, অনেক অনুরোধ করার পরেও ফেরত না পেয়ে ২৩ বছর আগে আদালতে মামলা করেছিলাম। বর্তমানে ওই জমির মূল্য প্রায় কোটি টাকা। আমি দেরিতে হলেও ন্যায় বিচার পেয়েছি।
বদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) হাফিজার রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে গণেশ শর্মাকে তার জমি বুঝে দেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন ছিল।