মেট্রোরেলের সপ্তম চালানে আরও চারটি ইঞ্জিন ও আটটি কোচ নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এসপিএম ব্যাংকক
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটের দিকে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ার পর জাহাজটি হতে তিনটি কোচ নামানো হয়েছে। বাকিগুলো বুধবার (২২ ডিসেম্বর) নামানো হবে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট।
বিদেশি জাহাজ এসপিএম ব্যাংককের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান জানান, গত ২ ডিসেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ঢাকা মেট্রোরেলের ৮টি রেলওয়ে কোচ, ৪টি ইঞ্জিন ও ৪৪ প্যাকেজে ৪৯০ মেট্টিক টন ওজনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসা এসপিএম ব্যাংকক মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দর ভেড়ে। এরপর ৮ নম্বর জেটিতে অবস্থানরত ওই জাহাজটি হতে তিনটি কোচ নামানো হয়েছে।
বাকি কোচ ও ইঞ্জিনসহ অন্যান্য মালামাল বুধবার সকালে পুনরায় খালাসের কাজ শুরু করা হবে। জাহাজ থেকে খালাস করে এসব পণ্য বার্জে (নৌযান) নামানো হচ্ছে। বার্জে করেই এ সকল মালামাল ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, গত ৩১ মার্চ ঢাকা মেট্রোরেলের সর্ব প্রথম চালানে ৬টি কোচ নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে এসপিএম ব্যাংকক। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৫ মে এমভি ওশান গ্রেস জাহাজে ৬টি কোচ, ২০ জুলাই এমভি হরিজন-৯ জাহাজে ১০টি কোচ ও ২টি ইঞ্জিন, ১২ সেপ্টেম্বর ৪টি কোচ ও ২টি ইঞ্জিন নিয়ে এমভি প্রেসার্স কোরাল, ২ অক্টোবর ৪টি ইঞ্জিন ও ৮টি কোচ নিয়ে এমভি এসপিএম ব্যাংকক ও ১২ নভেম্বর ৪টি কোচ ও ২টি ইঞ্জিন নিয়ে এমভি ব্রাইট কোরাল এ বন্দরে আসে।
তিনি বলেন, অধিকতর গুরুত্বের সাথেই আমরা মেট্রোরেলের এ মালামাল খালাস ও পরিবহনে সর্বাত্মক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মেট্রোরেল ছাড়াও এ বন্দর দিয়ে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু রেল সেতুসহ দেশের চলমান মেগা প্রজেক্টের পণ্য আসছে। এতে বন্দরের সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে এ বন্দরের ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্যতাও।