ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পাদনে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কার্ডবিহীন সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের বন্দরে ঢুকতে না দেওয়ায় ৮ ঘণ্টা বাণিজ্য বন্ধ ছিল। পরে সমঝোতা বৈঠকে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়। তবে এপথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলে দিনভর স্বাভাবিক ছিল পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারতের কোনও পণ্য নিয়ে ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, হঠাৎ করে পেট্রাপোল বন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় কার্ডবিহীন কোন ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ বন্দরে প্রবেশ করবে না। এতে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণে বিঘ্ন ঘটায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। পরে বিএসএফ কর্তৃৃপক্ষের সাথে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের সমঝোতা বৈঠকের ৮ ঘণ্টা পর বিকাল ৪টায় পুনরায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন ভারত থেকে সাড়ে ৩শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে সরকারের ২০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়। যাত্রী যাতাযাত হয় দিনে ৬০০ জনের মত। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত সচল রয়েছে।