দুই বছর পর জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বহুল প্রতীক্ষিত বার্ষিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-১৯-এর নতুন ঢেউয়ের কারণে এই সম্মেলন ইতিমধ্যেই পাঁচদিন থেকে কমিয়ে তিনদিন করা হয়েছে এবং তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভা কক্ষের পরিবর্তে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫টি মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন মন্ত্রী ও সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, সম্মেলনে যোগদানের আগে ডিসিদেরকে তার গানম্যান, ড্রাইভার এবং সঙ্গীদের সাথে আরটিপিআর পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে, তিনি যোগ করেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান যে, এখন পর্যন্ত দুই বিভাগীয় কমিশনার এবং পাঁচজন ডিসি কোভিড -১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
তারা রাজশাহী ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার এবং কক্সবাজার, রাজশাহী, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চুয়াডাঙ্গার ডিসি।
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের পটভূমিতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাঁরা কোভিড -১৯ বিবেচনা করে সম্মেলন স্থলটি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানান্তরিত করেছেন এবং ৭শ’ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও মাত্র ৬৪ জন লোককে অনুষ্ঠানস্থলে যেতে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনে অনেক মন্ত্রণালয়কে বিভিন্নভাবে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন এবং বুধবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতির ভার্চুয়ালি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
কোভিড-১৯, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন প্রয়োগ, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য হ্রাস ও কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম, আইসিটি ও ই-গভর্নেন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ভৌত অবকাঠামো এবং সম্মেলনে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫দিন জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়েছে। এরপর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দুই বছর (২০২০ ও ২০২১) জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়নি। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতিবছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।