`সবুজ ঘাসে শিশির হাসে, মুক্তার সাজে, মৌমাছি গায়ছে গান, গুনগুন সুর বাজে। সোনালী ধান নবান্ন ঘ্রাণ ভরে যায় মন, কৃষকের মন-প্রাণ, ধন-ধান্যে পরিপূরণ।` কবি আবু জাফরের কবিতার সঙ্গে মিল রেখেই পাকা ধানের গন্ধে কৃষকের ঘরে এসেছে নবান্ন। নবান্ন উৎসব আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, শিকড়ের সঙ্গে মিলে আছে।
নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। মাঠে মাঠে যখন ফসল কাটার সময় আসে তখন নবান্নের মাধ্যমে মিলনোৎসব পালিত হয় এদেশে। বলা যায় নবান্ন হল শস্য ভিত্তিক লোক উৎসব।
হেমন্তে আমন ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে গৃহস্থরা এ উৎসব পালনে মেতে ওঠে। নতুন চালের তৈরি নানা পিঠা-পায়েসের আদান-প্রদান আর আত্মীয়স্বজনের আগমনে পল্লী পরিবেশ মুখরিত হয়ে থাকে।
এ উপলক্ষে `এসো মিলি সবে নবান্ন উৎসবে, স্লোগানে খুলনায় নবান্ন উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের পহেলা অগ্রহায়ণে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে র্যালিটি নগরীর হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর হাদিস পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পালাগান ও জারি গানের আসর বসানো হয়।