চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হবে রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ গ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোববার (১৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা এ ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। ইতোমধ্যে ঈদের জামাত আদায়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, সুফি সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমান (র.) ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রবর্তন করেন। তার সেই দেখানো পথে এখন পর্যন্ত এ নিয়ম মেনে আসছেন তার ভক্ত- অনুসারীরা।

দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদুল আযহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (কঃ), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (কঃ), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (কঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (কঃ) এর তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করবেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডাঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমুহের শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।

সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাঁহাগিরী ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাঁহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর বলেন, আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দ্বিশতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ্জ্ব দিবসের পরের দিনই পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং আজ হজ্জ্ব পালনের খবর সচিত্র অবগত হয়ে তথা এই বছর শায়খ মাহের আল মুয়াক্কিল কতৃর্ক প্রদত্ত হজ্জের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই দেশ-বিদেশে সিলসিলায়ে আলীয়া জাঁহাগীরিয়া, মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীগণ আগামীকাল রবিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।

   

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ সময় বিদায়ী সেনাবাহিনীর প্রধানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের ১০ জুন সেনাপ্রধান হিসেবে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

;

গ্রীষ্মের ছুটি কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র-শনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মের ছুটি কমলো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মের ছুটি কমলো

  • Font increase
  • Font Decrease

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। আগামী ২ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও এখন নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে বুধবার (২৬ জুন)। তবে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ছুটি কমানোর কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, নতুন কারিক্যুলামে চলতি বছরে বেশ ঘাটতি রয়েছে। শীত ও অতি গরমের কারণে এবার ১৫ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেই ক্ষতি পোষাতে গ্রীষ্মের ছুটি কাটছাঁট করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে শীতকালীন ছুটি কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এ ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারের বন্ধ পুনর্বহাল রাখার কারণে গ্রীষ্মের ছুটি কমে যাবে।

শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন এবং চলার কথা ছিল ২ জুলাই পর্যন্ত।

;

প্রেমের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: ভাতিজার কারণে প্রাণ গেল চাচার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ভাতিজার দুঃসাহসিকতার কারণে মারা গেল চাচা রুবেল।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে ভাতিজার প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রুবেল। ৫০ বছর বয়সী নিহত রুবেল উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জিসান ও আঁখি নামের দুই ছেলে-মেয়ের প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে রুবেলের ভাতিজা লিটন ও আতিয়ার নামের অপর এক যুবকের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। এর জেরে লিটন ঈদের পরদিন আতিয়ারের এলাকায় গিয়ে দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে আতিয়ার গ্রুপের এলাকায় সংঘর্ষ বাধায়। এসময় কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে চলেও আসে। পরে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরে আতিয়ার গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে লিটনের বাড়িতে লিটনের ওপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রওনা করে। পথে বিষয়টি বুঝতে আতিয়ার গ্রুপকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে লিটনের চাচা রুবেল। এসময় ওই দলবলের লাঠির আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত আহত হন তিনি। পরে তাকেও প্রথমে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে সেদিন বিকেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তার আরও অবস্থার অবনতি হলে একইদিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রুবেলের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান।

তিনি জানান, ঈদের পরদিন এলাকায় কিশোর প্রেমের ঘটনার সূত্র ধরে নিহত রুবেলের ভাতিজা লিটনের সাথে অপর একটি গ্রুপের মারামারি হয়। সেই সূত্র ধরে তারা লিটনের ওপর হামলা করতে আসার পথে লিটনের চাচা রুবেল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা রুবেলের ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পলাশবাড়ি, পরে রংপুর এবং শেষে অবস্থার চরম অবনতি হলে একইদিন রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সেদিনের ঘটনায় ওই দিনই আতিয়ার গ্রুপের ১৭ জন নামীয়সহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রুবেলের মেয়ে রেবা বেগম। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পরিবারসহ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।

;

বৃষ্টি হলেই জলজট কটিয়াদী পৌর এলাকায়, নিরসনে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরএলাকার ভোগপাড়াসহ বিভিন্ন মহল্লায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা ও আশপাশের বাড়ি ঘরে হাঁটুপানি লেগে থাকে। এতে মহল্লাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নিম্নমানের রাস্তা তৈরির কিছুদিনের মধ্যে গর্ত হয়ে যাচ্ছে৷ একদিকে রাস্তা খানাখন্দে ভরা অপরদিকে জমে থাকে বৃষ্টির পানি৷ সমস্যার যেন শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে পানি জমে থাকে৷

এমন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের জন্য পৌর এলাকার ভোগপাড়া মহল্লাবাসী বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টি হলেই ভোগপাড়া মডেল মসজিদের রাস্তায় হাঁটুজল লেগে থাকে। আশপাশের বাড়ি ঘরেও হাঁটুজল লেগে থাকার কারণে মহল্লাবাসীসহ সর্বসাধারণের চলাচলে খুবই কষ্ট করতে হয়। পচা দুর্গন্ধ যুক্ত পানি মারিয়ে মসজিদে যাতায়াতের কারণে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া মসজিদ সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রাহকগণ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। দুর্গন্ধযুক্ত পানি মারিয়ে অফিসে যেতে হয়।

ভোগপাড়া মহল্লার সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন বলেন, মাটি ফেলে কালভার্টের মুখ বন্ধ করার পর থেকে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। মহল্লার ৭-৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সবেমাত্র বর্ষাকাল শুরু। কালভার্টের মুখ খুলে না দিলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না। এতে অত্র এলাকায় বসবাসকারীদের অসুখ বিসুখ লেগেই থাকবে। কেউ কেউ বাড়ি ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ওসমান মো. সবুজ, মো. রতন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আক্কাছ মিয়া, বুলবুল ইসলাম, লিটন মিয়া, আফজাল হোসেন, সোহাগ মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে মানববন্ধনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়।

;