প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে সেতু। সেই স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধন করতে এরই মধ্যে পদ্মার মাওয়া প্রান্তে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।
শনিবার (২৫ জুন) ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনি। সুধী সমাবেশ শেষে পদ্মা সেতুর মাওয়ার প্রান্তের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
সুধী সমাবেশ শেষে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ জুন) পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে চলাচলের জন্য। পদ্মার দুই তীরের পাশাপাশি সারা দেশে তাই উৎসবের সাজ।
এদিকে সুধী সমাবেশের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি ডুকমেন্টারি দেখানো হয়। এরপর পদ্মা সেতু নিয়ে নির্মিত থিম সিং জায়ান্ট স্ক্রিনে পরিবেশন করা হয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর উপর তৈরি করা ডকুমেন্টরিও দেখানো হয়।
সুধী সমাবেশের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে আছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আর তার পাশে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, কুটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।