হাওরাবাসীদের আমিষের চাহিদা পূরণে গবাদি পশু-পাখি বিতরণ শুরু

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 20:18:21

হাওর বেষ্টিত ৭ জেলার ৫৩ টি উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিজসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. গোলাম কবির বার্তা২৪.কমকে জানান, ১১৮ কোটি টাকায় হাওরের ৭ জেলার ৫৩ টি উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান তথা প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন ও সরবরাহ, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


প্রকল্পে চলমান কার্যক্রম প্রসঙ্গ তিনি বলেন, বর্তমানে কিশোরগঞ্জের ৬টি উপজেলা ৪হাজার ৮২৪ জনের মধ্যে সোনালী মুরগি বিতরণ শেষ করা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার ৯ টি উপজেলার ৩ হাজার৩৯৮ জনকে মুরগি বিতরণ শুরু হয়েছে। এ দুটি জেলার ৮ হাজার ২২২ জনের প্রতিজনকে ১৩টি মুরগি এবং দুটি করে মোড়গ দেওয়া হবে। এছাড়াও এসব মুরগি লালন পালনের জন্য ঘর দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, খাবার এবং ঔষধ দেওয়া হয়েছে।

তবে সকল উপজেলায় সুবিধাভোগীদের পর্যায়ক্রমে ১৫টি করে হাঁস, দুটি করে ছাগি, দুটি ভোড়ী, প্রয়োজনীয় ওষুধ , উন্নত জাতের ঘাষ চাষ প্রশিক্ষণ ও ঘাসের কাটিং হস্তান্তর করা হবে।

সুবিধাভোগী জেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার সুনামগঞ্জ সদর, জগন্নাথপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, ছাতক, শাল্লা, তাহিরপুর, বিশ্বম্বপুর, দিরাই, দোয়ারাবাজার এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা।

সিলেট জেলার জৈস্তাপুর, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইন জকিগঞ্জ, কানাইঘাট এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলা।


হবিগঞ্জজেলার আজমেরীগঞ্জ, সদর, বাহুবল, লাখাই, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ এবং মাধবপুর উপজেলা। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা এবং জুড়ি উপজেলা। নেত্রোকোণা জেলার আটপাড়া, কমলাকান্দা, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা দূর্গাপুর এবং বারহাট্টা। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন, করিমগঞ্জ, অষ্টগ্রাম, ইটনা, নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, তাড়াইল, ভৈরব এবং কটিয়াদি। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া নাসিরনগর উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

গোলাম কবির বলেন, ৫৩টি উপজেলায় এজন্য ২০৫২টি সুফলভোগী দল, ৫১২৭৬ জন সুফলভোগীকে প্রশিক্ষণ, ৫১২৭৬ জন প্রশিক্ষিত সুফলভোগী পরিবারকে বিভিন্ন প্যাকেজে উপকারণ ও প্রযুক্তি ও প্রাণিসম্পদ সেবা হাস্তান্তর, ৫৩টি উপজেলায় মোট ৩৮০টি সাইলেজ প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, ৩৩৮টি ইউনিয়নের মোট ৬৭৬ জন (৫০% মহিলা) প্রশিক্ষিত ভ্যাক্সিনেটর তৈরি, অষ্টগ্রাম উপজেলার ৫০ জন পনির উৎপাদনকারী সুফলভোগী সরহায়তা দেওয়া হবে।

হাওরের ৫৩ জেলার দরিদ্র মানুষ যাতে করে সঠিকভাবে পশুপাখি লালন পালন করে নিজেদের স্বাবলম্বী হতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও প্রকল্প পরিচালকসহ উপজেলা কর্মকর্তারা নিয়মিত ক্ষুদ্রখামার পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর