গুজব প্রতিরোধে ডিসিদেরকে তথ্যমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 12:32:13

অনিবন্ধিত পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তব্যদান ও মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৬২টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৬৯টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল, ১৫টি টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল ও ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, সেটি জেলা প্রশাসকদের জানানো হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।’

‘জেলা পর্যায়ে অনেক অনলাইন পোর্টাল, আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই এবং যারা সেগুলোতে কাজ করে তারা নিজেদেরকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দেয় এবং সেগুলোর মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়, ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয় এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

ড. হাছান জানান, ‘অনিবন্ধিত পোর্টালে যদি দেখা যায় কেউ বিভ্রান্তি বা গুজব ছড়াচ্ছে কিম্বা অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে হানাহানি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অথবা কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সেটিকে আবার ভিন্ন কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সত্য তথ্যটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশন করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের গুজব প্রতিরোধ সেলকে জানাবার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

বাস্তব প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গুজব ছড়ায় কয়েক ঘন্টায়, আর সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কয়েকদিন সময় লাগে। কারণ এর একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটি বিটিআরসিকে জানাতে হয়। এবং এই সময়ে গুজব থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতেই যেন বলা হয় সেটি গুজব এবং আসলে সত্যটা এই। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর