বঙ্গোপসাগরের সব জল দিয়ে গোসল করলেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হবো না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, আমরা সেই অভাগা জাতি যারা নিজেদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছি, এটা লজ্জার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। তবুও এই দায় এড়ানো যায় না। বঙ্গোপসাগরের সব জল দিয়ে গোসল করলেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হবো না। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। ছোট শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লিখা শুরু করার অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে ছিল।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গোয়েন্দা শাখার গোপন নথি ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’ উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকেও যে যেকোন আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন তাই লিপিবদ্ধ ছিল এই গোয়েন্দা রিপোর্টে। বঙ্গবন্ধু ন্যায়ের জন্য আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। সুশাসন ও স্বশাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সেজন্যই বাঙালির হৃদয় জয় করেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধু জেলে অন্ত্যরীণ হলেন তখন সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিল।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, এই শর্ট ফিল্মটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের একটি সমৃদ্ধ উৎস হবে। কারণ এতে উন্মোচিত হয়েছে, কীভাবে সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।
ডকু-ফিকশন ফাইল নম্বর ৬০৬ উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে বক্তব্য রাখেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নক্ষত্রের ডা. মুশফিকা রহমান, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, চিত্রগ্রাহক রাকিবুল হাসান, নির্বাহী প্রযোজক অপরাজিতা সংগীতা, শিল্প নির্দেশক রবি দেওয়ানসহ সরকারের নিরাপত্তা শাখার উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ছবিটির সাথে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা, অভিনেতা শিল্পী ও কলাকুশলীরা।