নিজের বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ড. বদিউল আলম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এ বিষয়ে বক্তব্যের ‘অপব্যাখ্যা’ হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে রংপুরে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যায় এ প্রতিবাদ করেন তিনি।
পোস্টে ড. বদিউল আলম লেখেন, ‘আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে’র উদ্যোগে অংশীজনের সঙ্গে এক সফল সংলাপের পর স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ভবিষ্যতের নির্বাচন সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চান। আমি বলেছি যে আমাদের কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন-কানুন ও বিধিবিধান সংস্কারের প্রস্তাব করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আরও বলেছি, ভবিষ্যতে আইন-কানুন মেনে প্রস্তুত হয়ে নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে, তাদের ব্যাপারে আমি কোনো বাধা দেখছি না। এটি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
তিনি ব্যথিত ও মর্মাহত উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও প্রাণহানির বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমি নানাভাবে ভূমিকা রেখেছি এবং নানা ত্যাগ স্বীকার করে সেই ভূমিকা অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা প্রচার আমাকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের অপপ্রচার শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধের রক্তকে অস্বীকার করার শামিল।’
এদিকে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের কোনো বাধা নেই’, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের এমন বক্তব্যে সংবাদ প্রকাশের পর তা প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।