নরসিংদীতে বিএনপি নেতা কর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও জনসম্পৃক্তি নিশ্চিত করতে নরসিংদীতে বিভাগীয় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। এজন্য যে কোন মূল্যে ৩১ দফার পক্ষে সমর্থন নেয়ার জন্য জনগণের পিছনে ঘুরতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততায় স্বৈরাচারি পালিয়েছে, তবে দেশের ভেতরে-বাইরে দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বর্তমানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। সংগ্রাম করেই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যনি, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা নেওয়াজ আরলি, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
চার বছর আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর কুষ্টিয়া সুগার মিলে পুনরায় আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে এ উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়া চিনিকল প্রধান গেটে জেলা বিএনপির আয়োজনে আখমাড়াই কার্যক্রম চালুকরণ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।
এসময় জাকির হোসেন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কলকারখানা বন্ধ করে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপি ওই সব ধ্বংস কলকারখানা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বর্তমান সরকারকে প্রস্তাব দেয়ায় সরকার জগতি চিনিকল চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যদি আখের আবাদ বৃদ্ধি করতে পারে এবং বেশি বেশি করে জমিতে আখমাড়াই করে তা হলে এই মিল চালু করে দেশে চিনির চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আলম হোসেন মালিথা, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুল মাজেদ, আব্দুল হাকিম মাসুদ, আবু তালেব, আসাদুজ্জামান শিপন, এমদাদুল হক
সেবার মানের ওপর জোর দিয়ে নাগরিকদের কাছে পৌঁছানো উচিত বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফজলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ও দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. ফজলুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন প্রায়শই তাদের প্রদান করা সেবার মানকে উপেক্ষা করে এবং রাজস্ব উৎপাদনের ওপর বেশি জোর দেয়। তাদের উচিত এই মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং নাগরিকদের কাছে পৌঁছানো, যেহেতু তারা করদাতা।
এসময় তিনি দেশে ওয়াশ ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ স্যানিটেশন পরিষেবায় বহুক্ষেত্রীয় অংশীদারিত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, পৌরসভা পর্যায়ে পানি সরবরাহের পাশাপাশি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা জরুরী। নবওয়াশা প্রকল্প যেভাবে স্যানিটেশন অনুশীলনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও উন্নয়ন এনেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনকে টেকসই করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সকল পক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, স্বাস্থ্যবিধির জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ নেই। এটা শুরু করার এখনই সময়।
এসময় তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো কার্যকর এবং পরিষেবামুখী করার জন্য সংস্কার কমিটিতে বিস্তৃত প্রস্তাবনা প্রদানের জন্য স্যানিটেশন সেক্টরের প্রতি আহ্বান জানান।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের আজমান আহমেদ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মো. তাহমিদুল ইসলাম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৬ এর লক্ষ্য, অর্জন এবং অবদানের রূপরেখা তুলে ধরে প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
মো. তাহমিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সিডব্লিউআইএস- এফএসএম (CWIS-FSM) সাপোর্ট সেলের মো. শফিকুল হাসান এবং বুয়েটের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্কের আলাউদ্দিন আহমেদ।
স্যানিটেশন খাতে বিদ্যমান এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতামূলক কৌশল হিসেবে প্রকল্পের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে এতে আলোচনা হয়। আলোচনায় সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে সকল পক্ষের সমন্বিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ আমদানি করা ৯ কনটেইনারের ১৭৫ টন নিলাম ও ভোগের অযোগ্য হিমায়িত চিংড়ি, আদা, কমলা ও পশুখাদ্য ধ্বংস করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন রিপাবলিক ক্লাবের পেছনে বড় গর্ত খুঁড়ে এসব খাবার ও ব্যবহারের অনুপযোগী পণ্য মাটি চাপা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১১১টি কনটেইনারের মোট ২ হাজার ৩৫০ টন পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত চিংড়ি, আদা, হিমায়িত মাংস, পশুখাদ্য, মেন্ডারিন কমলা, মিট অ্যান্ড বোন মিল, মাছ ও মুরগির খাদ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, ‘বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়া ও নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য ধ্বংস করা কাস্টমসের নিয়মিত কার্যক্রম। এবার ধ্বংস কার্যক্রমে ১১১টি কনটেইনার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রথম দিনে ৯টি কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সীমিত কার্যক্রম চলবে। এরপর পুরোদমে ধ্বংস কার্যক্রম চলবে।’
সাইদুল ইসলাম আরও জানান, ‘খালাস না হওয়া পণ্য নিলামের পরও অনেক সময় সেগুলো সরবরাহ করা যায় না, বিশেষ করে যদি নমুনা পরীক্ষায় বিএসটিআই বা আনবিক শক্তি কমিশনের ছাড়পত্র না মেলে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আগে দেখা গেছে, ধ্বংসের পর পণ্য চুরি করে একটি চক্র বাজারে নিয়ে আসত, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এবার আমরা নিশ্চিত করছি যে ধ্বংস কার্যক্রমের পর কোনো অনিয়ম বা চুরি না ঘটে।’
ধ্বংস কার্যক্রমে কাস্টমস এবং বন্দরের যৌথ উদ্যোগ জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।