তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা ভাঙচুর চালিয়েছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কয়েকটি কক্ষে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লোক বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, হামলার ঘটনা জানতে পেরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং সংক্ষুব্ধদের তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার ফাঁকে বহিরাগত আরও কয়েকজন সেখান থেকে বের হয়ে পাশে হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন সেবিকা ও ওয়ার্ডবয় লাঞ্ছিত হয়। ঘটনার পর শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আাবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, 'হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।'
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, 'ঘটনার কথা শুনে আমি হাসপাতালে গেছিলাম। হাসপাতাল সুপারের সাথে কথা হয়েছে। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।'
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মো. হাসিবুর সাত্তার বলেন, 'মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আজকে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এতে হাসপাতলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালের সকল স্টাফ কর্ম বিরতিতে যেতে চাচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সকল স্টাফ মিটিংয়ে বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আগের ঘটনাগুলোতে পুলিশে অভিযোগ করে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আদালতে মামলা করব।'
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। আমি বাইরে থেকে ঘটনা শুনে ইন্সপেক্টর তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'