২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস-ট্রাক টার্মিনাল করছে চসিক

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪ | 2023-08-31 14:53:15

নগরে যানজট নিরসনে কুলগাঁও বালুছড়া এলাকায় ১৬ একর জায়গার ওপর ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের অত্যাধুনিক বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ ছাড়পত্র পেলেই এই প্রকল্পটি টেন্ডারে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ব্যবস্থাপনায় নির্মিতব্য বাস-ট্রাক টার্মিনালের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শনে যান সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। পরিদর্শনকালে মেয়র বাস-ট্রাক টার্মিনালের স্থানের সার্বিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।

এ সময় তিনি প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্মিতব্য বাস-ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় ইমারত অথবা কোনো ধরণের অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন কিংবা ছাড়পত্র প্রদান না দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু হয়েছে।

ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বহুতলবিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ কয়েকটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এই টার্মিনাল নির্মাণের জায়গার মধ্যে সিডিএ মালিকাধীন রয়েছে আট একর। বাকি আট একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৫ লক্ষ ৫হাজার টাকা, জমির উন্নয়ন বাবদ ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা,বাস-ট্রাক টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইয়ার্ড নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা । চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক ও যানজট নিরসনে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

গত ১১ই অক্টোবর এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। এই টার্মিনাল থেকে দুর পাল্লার এবং আন্তঃনগর উভয় ধরণের বাস ছেড়ে যাবে। টার্মিনালের মুখে থাকবে চারতলা বিশিষ্ট নানন্দিক ভবন। এই ভবনে সুবিধার মধ্যে প্রথম তলায় সিটি বাস টার্মিনাল,আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল ১টি যাত্রী নামার লেন, ২৫টি যাত্রী উঠার লেন, ১৪টি অতিরিক্ত নামার/অপেক্ষমাণ লেন, ছাদযুক্ত বৃহদাকার খোলা হল রুম এবং তথ্য কেন্দ্র, ৩টি স্থানে ৫টি লিফট, ১ জোড়া চলন্ত সিডি, ৩টি প্রশস্ত সিডি, প্রতিটি ফ্লোরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক বৃহদাকার ওয়াশ রুম (টয়লেট),২২টি টিকেট কাউন্টার, ওয়াইফাই সুবিধাসহ যাত্রীদের বসার জায়গা, লাগেজ রুম ,ট্যাক্সি বুকিং বুথ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, খাবার দোকান, ৩০টি কার এবং ট্যাক্সি পার্ক, ৬টি পেট্টোলপাম্প,৬৯টি বাস ডিপো, ১৭টি ওয়ার্কশপ এবং সার্ভিসিং সেন্টার, ৪টি সার্ভিসিং লাইন, ৮টি রক্ষণাবেক্ষণ ওয়ার্কশপ লাইন ২য়তলায় রেস্তোরা, সুভ্যেনীর সভা ,এসি বাস যাত্রীদের বসার জায়গা ৩য় তলায় বাস কোম্পানিদের ব্যবসায়ী অফিস, টার্মিনাল ফেসেলিটিজ এবং ৪র্থ তলায় বাস কোম্পানিদের ব্যবসায়ী অফিস,প্যানোরোমা রেস্টুরেন্ট, বাস কর্মচারীদের বডিং এবং কমনরুম, ওয়াশরুমসহ বাস কর্মচারীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা এবং সাব স্টেশন এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টেশন রয়েছে।

পরিদর্শনের সময় কাউন্সিলর কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহেদ ইকবার বাবু, সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব ফরিদ আহমদ চৌধুরী, আইইবি এর সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলহাজ্ব আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম,মনিরুল হুদা, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমানসহ চসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর