সৈয়দ আশরাফ আর নেই

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 01:53:48

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ আশরাফ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।’ 

বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ থেকে জমা দেওয়া, নির্বাচনী প্রচারণা সবই করেছেন তাঁর নেতাকর্মীরা।

২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর লন্ডনের একটি হাসপাতালে সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী শিলা ইসলাম মারা যান। এতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এরপর নানা শারীরিক জটিলতায় চেপে বসে তাঁর শরীরে। পরে তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ। দুই মেয়াদে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

১৯৭৫ সালে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান। পরে ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-১ থেকে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  এরপর  ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও সাংসদ হন।

প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন।

২০১৪ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পরে ২০১৫ সালে মন্ত্রিসভা পুনর্বণ্টনে তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দী হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন। পরে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর