আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বললেন মাশরাফি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগটিকে অস্বীকার ও ভিত্তিহীন দাবি করে মাশরাফি বলেন, এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন তোফায়েল মাহমুদ তুফান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘনের শামিল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রোববার সকালে অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি নড়াইলে অবস্থান করাকালীন শুধু নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লোহাগড়ায় গিয়েছিলাম। এছাড়া কোনো কারণেই বাড়ির বাইরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করিনি, কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব। এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ অভিযোগকারী দেননি। তাকে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ১২৯ ও নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন।