ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-05-24 16:41:13

গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

তবে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশই বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যে। এতে নিরামিষের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে শসা, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বেগুনের। এরমধ্যে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি শসার মূল্য ৫০ টাকা, ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পটল ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এছাড়াও কেজি প্রতি কাকরল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০ টাকা কমে এক কেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে, প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজারে আদা ২৮০ এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গাজরের দামও বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজিটি। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম।

বর্তমানে টমেটো ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, পেপে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা এবং লতি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ ঘিরে উত্তাপ বেড়েছে মসলার বাজারে। নগরীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এলাচ, দারচিনি ৬শ', গোলমরিচ এক হাজার টাকা এবং লবঙ্গ দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স এর মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা।

তবে, স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বর্তমানে আকার ও জাত ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, পাঁচ কেজির বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা এক হাজার ২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর