ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2024-05-25 17:33:23

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার রাত ৯টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর মধ্যেই উত্তাল সমুদ্র দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শত শত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একারণে বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউ এবং বাতাসের তীব্রতা।

বিপদ বোঝাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা না মেনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমেছেন অনেক পর্যটক।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, অনেক স্থানীয়রা দেখতে এসেছেন ঘুর্ণিঝড় রেমালে সমুদ্র সৈকতের পরিস্থিতি। অনেক পর্যটক পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন সমুদ্র পরিস্থিতি।

তাদেরই একজন গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক কামরুল ইসলাম বলেন, অনেক দূর থেকে এসেছি। গোসলে তো নামতেই হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সমুদ্র সৈকতে আসলাম। ঘূর্ণিঝড় আসলেও আমরা টাকা খরচ করে সেছি আনন্দ মিস করা যাবে না।

পর্যটক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, গোসল করতে এসে শুন ঘূর্ণিঝড় আসছে। তাই আর সমুদ্রে নামছি না। সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। নির্দেশনা না মানলে আমরাই বিপদে পড়ব। এজন্য সমুদ্রে না নেমে দূর থেকেই উপভোগ করছি।

পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীদের। সিনিয়র লাইফগার্ড জয়নাল আবেদীন ভুট্টো বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অনেক পর্যটককে আমরা বাধা দিলেও মানছে না। আমরাতো পর্যটকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। নিরাপদ লাল-হলুদ পতাকার বদলে বিপদসংকেত বুঝাতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।

এদিকে শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর