সাতক্ষীরায় ভয়াবহ লোডশেডিং, প্রচণ্ড গরমে নাকাল মানুষ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হঠাৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলাবাসী। একদিকে তীব্র তাপদাহ আর অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার ২৪ লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে রাতে প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে পারছেন না শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা শহরের সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান, জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে, তার উপর ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাছাড়া আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন যদি শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে না পারে তাহলে পরীক্ষাতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে তাদের।

পার্শ্ববর্তী কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, অসহনীয় গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গরমের যন্ত্রণায় রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে মানুষজন রাস্তায় রাস্তায় বেরোচ্ছেন।

সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক গৌরব দাশ বলেন, বিসিকে উৎপাদনশীল ৪২টি কারখানা রয়েছে। গত তিন দিন যাবত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এসব শিল্প কারখানাগুলোতে মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দ্রুত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মঞ্জরুল আকতার জানান, জেলায় তাদের ৬ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ মেগওয়াট। ঘাটতি থাকছে ৪২ মেগাওয়াট। ফলে গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রহমান জানান, তার অধিনে সাতক্ষীরাতে ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ মেগওয়াট। এতে করে ঘাতটি থাকছে ৪ মেগাওয়াট। শহরের ১১টি ফিডার রয়েছে। যা থেকে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং ওঠানামা করা হয়। তবে কবে নাগাত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।