'সংস্কৃতির চর্চা শিক্ষার গোড়া থেকেই হওয়া উচিত'

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-09-01 00:59:07

দেশের শিশু কিশোরদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে সংস্কৃতির চর্চার প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি খুব বড় বিষয় হওয়া উচিত। এই শিক্ষা তাদের গোড়া থেকে দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।

বুধবার(২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমি মনে করি, শিশু কিশোরের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক চর্চা বড় বিষয় হওয়া উচিত। একদম প্রাক-প্রাথমিক থেকেই । আর শিক্ষার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, সেখানে ন্যূনতম কয়েকটি গান, কয়েকটি কবিতা সেগুলো যেমন শেখানো দরকার, তেমনি দেশ সম্পর্কে, দেশকে ভালোবাসার জন্য শিশুদের মনে সেই ভালোবাসা জাগ্রত করার জন্য আমাদের কিছু জিনিস শেখানো দরকার।’

দীপু মনি বলেন, ‘এই শিক্ষাটা তাদের(শিশু-কিশোর) গোড়া থেকেই দেওয়া উচিত। যাতে তারা দেশের সংস্কৃতির ভাণ্ডারের যে সমৃদ্ধি, তাকে যেন তারা ধারণ করতে পারে।’

দেশের সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুনজর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সংস্কৃতি অবহেলিত হয় যখন দেশ বিরোধীরা ক্ষমতায় আসেন। কারণ তাদের ভয় আমাদের সংস্কৃতিতে, তাদের ভয় আমাদের সাহিত্যে। যা কিছু বাঙালির, তাকে নিয়ে তাদের ভয়।’

সংস্কৃতি আর মনের দিক থেকে এগিয়েছিলাম বলে  ৭১-এ পাকিস্তানিরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তার দিক থেকে মনের দিক থেকে এগিয়ে ছিলাম বলেই তো একাত্তুরের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা আমাদের মেধাকে কেড়ে নেবার প্রয়োজন বোধ করেছিল। এই মেধাকে ভয় পেয়েছিল বলেই তো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।’

সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতির গতি আরও তরান্বিত করতে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেশের আসার জন্যই দেশ আজ অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে চলছে। আমরা যদি তাকে ফিরে না পেতাম, তাহলে আমরা যুদ্ধে বিজয় পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু তার পরে কি হতো? তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আমাদের স্বাধীনতা আর বিজয় স্বাদ পূর্ণতা পেয়েছিল তাই নয় তিনি এসেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে সাড়ে তিন বছরে মধ্যে গড়ে তুলে ছিলেন।’

সংগঠনের নির্বাহী সভাপতির ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোশাল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর