প্রাকৃতিক বন রক্ষা করতে হবে: রিজওয়ানা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে বন উজাড়ের হার খুবই খারাপ, বন উজাড়কে কমিয়ে প্রাকৃতিক বনগুলোকে রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ থেকে ৭৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলের ১৯টি জেলা সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাবে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সম্প্রীতির ভাবনায় বৈষম্যহীন আবহে টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র‍্য রক্ষা প্রতিপাদ্যে বৃক্ষরোপন,পলিথিন ও এসইউপি বর্জন বিষয়ক আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রাকৃতিক বনকে সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব। সংবিধানের আলোকে সেই বিধান আনতে হবে। নদী ভাঙন এলাকা বা সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাছ ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে। গাছ প্রকৃতির প্রদত্ত সুরক্ষা কবজ। কিভাবে গাছের পরিমাণ বাড়ানো যায় তা আমাদের দায়িত্ব।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিন আজই বর্জন করতে হবে। গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই কর্মসূচি আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আহসান হাবীব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।