ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যায় খুনিরা কাটআউট পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ গুম করা। যাতে কোনো দিন সেটি খুঁজে না পাওয়া যায়।
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবির নিজ কার্যালয়ে একথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
হারুন বলেন, আমরা এমপি আনার হত্যায় ডিজিটাল এভিডেন্স পেয়েছি। বিভিন্ন ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। তারা যে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করেছে এবং পৈশাচিক কায়দায় নৃশংসভাবে এই মরদেহটা গুম করার উদ্দেশ্যে ছিলো যাতে কোনদিন মৃতদেহের কোনো অংশ না পাওয়া যায়। সেই জন্য তারা জিহাদ ও সিয়ামকে ব্যবহার করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা কাউআউট পদ্ধতি ব্যবহার করেছে যাতে কারো তথ্য কারো কাছে না থাকে। যখন বাংলাদেশের কোনো লোক তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তখন কিন্তু ভারতীয় পুলিশও তার তথ্য পাচ্ছে না। সেই মুহুর্তে আমরা বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে যে মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করি। তারা কিন্তু তিনজনই আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। তারা আদালতে বলেছে কিভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। তারা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছে।