৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করলেন জবি শিক্ষার্থীরা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
|
অনশন প্রত্যাহার/ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়ের সামনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।
এর আগে বিকাল ৪টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন অনশকারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বেলা পৌনে পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনে এসে পৌঁছান। এসময় অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীরা স্যালাইনের স্ট্যান্ডসহ রিক্সায় চেপে পদযাত্রা অংশগ্রহণ করেন। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে একেএম রাকিব বলেন, আগামী বুধবার যে মিটিং হবে সেখানে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর হবে- এ মর্মে লিখিত অঙ্গিকার পেয়েছি। এছাড়া বাণী ভবন ও ডা. হাবিবুর রহমান হলে অস্থায়ী স্টিল বেজড ভবনের নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে যাচাই ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে আমরা আমাদের অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। যেহেতু তাঁরা তিনটি দাবির দুইটি মেনে নিয়েছেন এবং একটি যাচাই করে দেখবেন, সেহেতু আমরা অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে বুধবারের মিটিংয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাট ডাউন থাকবে।
নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর থেকে
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
দেশের উত্তরাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা অনেকটাই তিস্তা নদীর ওপর নির্ভরশীল। ভারতের সঙ্গে অভিন্ন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বৈষম্য দীর্ঘদিনের। ভারতের বৈষম্যমূলক এমন আচরণে শুষ্ক মৌসুমে পানি শূন্যতায় ভোগে এই অঞ্চলের মানুষ। বর্ষায় অল্প পানিতে বন্যা, নদী ভাঙনে নিঃস্ব। আবার খরায় পানি স্বল্পতায় চাষাবাদ ব্যাহত হয় তিস্তার লাখ লাখ কৃষকের। তিস্তা নদীর এই পরিস্থিতি উত্তরণে দীর্ঘদিন ধরে দাবি উপস্থাপিত হলেও নদী শাসন বা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি কেউ।
দীর্ঘদিনের তিস্তার পানি বণ্টন ও নদীর প্রকল্প বাস্তবায়ন দেশের উত্তরাঞ্চলে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। ‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে বিএনপির টানা দুই দিনের কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন উত্তরের পাঁচ জেলা– লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারীর সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টানা ৪৮ ঘণ্টা জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজসহ পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন কাহিনী অর্থাৎ তাদের আনন্দ-বেদনার বিষয়গুলো নাটক ও সংগীতের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী তুলে ধরা হচ্ছে।
তিস্তা চুক্তিসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তাপারের বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি প্রকল্প ছিল। বিগত সরকার গড়িমসি করে তা বাস্তবায়ন করেনি। বর্ষার সময় ভারত পানি দিয়ে আমাদের ডুবিয়ে দেয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা তিস্তার পানির সমান অধিকার চাই।
কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা বলেন, রংপুরের গংগাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার ৩টি পয়েন্টে লক্ষাধিক মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। তিস্তার কারণে এই তিনটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। খরার সময়ও মেলে না পানি। তাই এই অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
তিস্তাপাড়ের জেলে এনামুল হক জানান, বাপ দাদারা তিস্তা নদীতে সারা বছর মাছ ধরত। তিস্তা নদীর সুটকি সারা দেশে চলে যেত। এখন বর্ষার ২/৩ মাস মাছ ধরতে পারলেও বাকী সময় পরিবারের খাবার যোগানো কষ্ট হয়ে পড়ে। পানি না থাকায় অনেক জেলে তাদের পেশার পরিবর্তন করেছেন। আগের মত নেই তিস্তা নদীতে মাঝি মাল্লাদের ডাক হাক। তিনিও দাবি করেন দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবীতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আশা করছি দু’দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ তারিখ তিস্তাপাড়ের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে আসবেন।
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী গ্রেফতার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়। নানা বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার নামে মেহেরপুর ও ঢাকায় মামলা রয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দীন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের নামে মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে মেহেরপুর আদালতে আনা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মিয়া (৪৫) কে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাজার নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া উজ্জ্বল উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও একই এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে। সোমবার সকালে র্যাব থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব ৯ (সিলেট) এর মিডিয়া অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল রোববার রাতে জেলার কসবা থানার কুটি চৌমুহনী বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় কুটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মিয়াকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা রযেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিপুল উৎসাহে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদযাপন
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল ম্যাচের দৃশ্য
জাতীয়
দেশে তারুণ্যের শক্তিকে উজ্জীবিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত একমাস ২০ দিন মাসব্যাপী তারুণ্যের উৎসব শেষ হচ্ছে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই।’ এই প্রতিপাদ্যকে ঘিরে দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে এই উৎসব। তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ঐক্যের প্রকাশ ঘটানো, সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হয়েছে। উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আত্মকর্ম সংস্থানের মাধ্যমে যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
ছোট ছোট সৃষ্টিশীল উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশে গ্রাম থেকে শহর, প্রান্তিক ও অনগ্রসর হতে অগ্রসর সকল এলাকায় সকল শ্রেণি-পেশার তরুণ-যুবদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে উদ্যাপিত হয়েছে এই তারুণ্যের উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম, শহর, সুবিধাপ্রাপ্ত-সুবিধাবঞ্চিত সকল শ্রেণির তরুণ-যুবদের মাঝে সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত মূল্যবোধ প্রচার করা হয়েছে। তরুণদের মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা ও অজানা সম্ভাবনা আছে সে সম্পর্কে সচেতন করার বিভিন্ন রকম কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম তরুণদের উজ্জীবিত করতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগে প্রতিদিন তারুণ্যের উৎসবের শত শত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী, ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৩০২ জন পুরুষ সহ মোট ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-যুবক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মোট ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্টের মধ্যে শুধু নারীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ইভেন্ট ছিল দুই হাজার ৯৩১টি।
ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জেলা ক্রীড়া অফিস সারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় হতে শুরু করে, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করে অনূর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল মেয়েদের ৮৫৫ ম্যাচ যাতে কমপক্ষে ২৫ হাজার ৬০০ মেয়ে অংশ গ্রহণ করেছে। বিপিএল চলাকালে বিসিবি বিভিন্ন ভেন্যুতে শূন্য বর্জ্য ক্যাম্পেইন চালায়, যা এ বিষয়ে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়।
এই উৎসবের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজন করে চা শ্রমিক ও খাসিয়া জনগোষ্ঠীদের অংশগ্রহণে সিলেটে দিনব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতা, কক্সবাজারে বিচ ফুটবল, ৬৪ জেলায় অ-১৫ ফুটবল টুর্নামেন্ট, অ্যামপিউটি ফুটবল ফেস্টিভাল, তিন পার্বত্য জেলায় সুবিধাবঞ্চিত নারী ফুটবলারদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৪দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ, সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ফুটবল ফেস্টিভাল, ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের ইয়াং ডিপ্লোমেটদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, ৩টি ভেন্যুতে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট, ৩৫০টি স্কুলের অংশগ্রহণে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন, ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইত্যাদি।
বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের আয়োজনে ৬টি জেলায় এবং জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার পল্টন ময়দানে ওপেন আরচারি প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের আয়োজনে ৪০০ জন পুরুষ-মহিলা অংশগ্রহণে ঢাকায় তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতা এবং ঢাকা ও কক্সবাজারে তায়কোয়ান্দো ডিসপ্লে, শিশু-কিশোর তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজনে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে নকআউট ভিত্তিতে যুব কাবাডি (অ-১৮ বালক ও বালিকা) প্রতিযোগিতা এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। দেশে সক্রিয় ৫৬টি ক্রীড়া ফেডারেশনও অ্যাসোসিয়েশনের সবাই এই উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করে।
এছাড়াও দেশব্যাপী উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দেশীয় ও গ্রামীণ খেলা যেমন কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, বউচি, গোল্লাছুট, ঘুড়ি উড়ানো উৎসব, রোলার স্কেটিং, সাইক্লিং, সিক্সারস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, মিনি ম্যারাথন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, কারুপণ্য মেলা ও পিঠা উৎসব, নজরুল সংগীত সন্ধ্যা, জুলাই-৩৬ বিষয়ক গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শহিদদের গল্প বলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বই পড়া, আবৃত্তি, বানান প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, আলোচনা অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান কুইজ, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, ডিজিটাল লিটারেসি ক্যাম্পেইন, শীত বস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, জিরো ওয়েস্ট ব্রিগেড গঠন, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা ও কর্মশালা, যুব উদ্যোক্তা সমাবেশ, ফ্রি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এই উৎসবের অংশ হিসেবে।
তারুণ্যের উৎসবকে অংশগ্রহণমূলক ও প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের এই উৎসবে সম্পৃক্ত করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এই তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে যুব উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন, যুব সমাবেশ অনুষ্ঠান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক বিতর্ক, কেইস কম্পিটিশন, আন্তর্জাতিক পুষ্টি অলিম্পিয়াড, আলোচনা অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও তারুণ্যের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও একই রকম কর্মসূচি হাতে নেয়।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উৎসব চলাকালে বিভিন্ন ভেন্যুতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সমাজের সবার অংশগ্রহণে সকল সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের সমন্বিত উদ্যোগে এই উৎসবটি উদ্যাপন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, ক্রীড়া সংস্থা এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অংশগ্রহণে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ নতুন দিনের বার্তা প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
তারুণ্যের উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ১ ডিসেম্বর ২০২৪ মিডিয়া লঞ্চিং ও লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে সারাদেশে একযোগে তারুণ্যের উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয় যা ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে শেষ হয়। তারুণ্যের উৎসবকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ২৩টি বিভিন্ন পর্যায়ের দপ্তর ও সংস্থা, একযোগে কাজ করে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৮০টি মিশনেও তারুণ্যের উৎসব ব্যাপকভাবে উদ্যাপিত হয়েছে।