খুলনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা | 2024-06-16 16:02:00

খুলনার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে ব্যাপক ভিড়। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে মহানগরীর প্রতিটি হাটেই বেচাকেনা জমজমাট।

রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকেই কোরবানির হাটে পশু কেনার জন্য আগ্রহী ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেন। 

ক্রেতারা প্রতিটি গরু, ছাগল বা কোরবানির পশু পরিদর্শন করে দামদর ঠিক করছেন। বিক্রেতাদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে। কারণ একদিকে পশু বিক্রি, অন্যদিকে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি বজায় রাখা, উভয়ই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত মহানগরীর জোড়া গেট এলাকার পশুর হাটে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা থেকে আসা মো. এবাদুল গাজী নামের এক গরু বিক্রেতা জানালেন, ‘সকাল থেকে ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। গরু দেখার পর দরদাম নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আমাদেরও কষ্ট কম নয়, কিন্তু আমরা খুশি যে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারছি।’

খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া এলাকা থেকে আগত মোঃ সজল মৃধা নামের এক ক্রেতা বললেন, ‘কোরবানির জন্য ভালো পশু বেছে নিতে চাই। ত্যাগের মহিমায় আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি দেয়।”

খুলনার অধিকাংশ কোরবানির পশুর হাটে পশু চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, যা ক্রেতাদের জন্য আশ্বাস প্রদান করে। কোরবানির হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনও তৎপর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

পশুর হাটে সাধারণত চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের পশু পাওয়া যাচ্ছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া সবই রয়েছে। বিশেষ করে এ এলাকায় গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান গরু বেছে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের মতে, কোরবানির পশু যেন নির্দিষ্ট মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ হাটে আসা মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মিয়া নামের আরেক ক্রেতা জানালেন, “আমি প্রতি বছর কোরবানি দেয়। এটি আমার জন্য এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। আমরা সব সময় ভালো পশু বেছে নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিয়ে থাকি।” অন্যদিকে যশোর মনিরামপুর থেকে আসা খামারি মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, “কোরবানির সময় আমাদের বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। সারাবছর আমরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করি।”

সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর কোরবানি ঈদের আগে এ হাটের আয়োজন করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। তবে এ হাট জমতে শুরু করে ঈদের দুদিন আগে থেকে। শনিবার থেকে এ হাটে দায়িত্বরত সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০২৩ সাল এ হাটে ৪ হাজার ৮৯টি গরু, ১ হাজার ৯শ ১১টি ছাগল এবং ২০টি বিক্রি হয়েছিল ভেড়া। সিটি কর্পোরেশন হাসিল আদায় করেছিল প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর