অপহরণের পর চাঁদা দাবি, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৭

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৭। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৭। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে জাকারিয়া নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে সাত অপহরণকারীকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অপহরণের পর অপহরণকারীরা জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. রেজাউল করিম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৮সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘অপহরণের ঘটনায় ডিবি কর্তৃক ভিকটিম উদ্ধার ও অস্ত্রসহ অপহরণকারী গ্রেফতার সংক্রান্ত’ এক সংবাদ সন্মেলনে এসব জানান তিনি।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. আলী আজগর, কাজী আমিনুল ইসলাম আমিন, মো. মারুফ গাজী, মো. আল-আমিন, মো. কামাল হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে মিস্টার ও সুচনা।

মো. রেজাউল করিম বলেন, শুক্রবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভার থেকে অপহৃত হন পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব-কন্ট্রাকটর জাকারিয়া। অপহরণকারীরা জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওই দিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিমের স্ত্রী লাইজু ওরফে স্বর্ণা। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ ও ডিবি সাইবার টেকনিক্যাল টিম। তদন্তকালে জানা যায়, ভিকটিমের একজন আত্মীয় অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছে। টাকা উত্তোলন করতে গেলে অপহরণকারী দলের একজনের স্ত্রী সুচনাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-পুলিশ।

ডিবির এই ডিসি বলেন, গ্রেফতার অপহরণ চক্র সদস্যের স্ত্রী সুচনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকালে ৩৬ পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের ৪র্থ তলায় মা প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম জাকারিয়াকে উদ্ধার ও ছয়জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রিন্টিং প্রেসটির মালিকের রুমের ড্রয়ার থেকে অপহরণে ব্যবহৃত ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি এবং ইসলামি ব্যাংকের ১টি চেক বই, ১টি সিপিইউ ও ১টি ড্রিল মেশিন উদ্ধার করা হয়।

ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডিসি বলেন, সাতজন গ্রেফতার হলেও চক্রের মূলহোতা এবং প্রিন্টিং প্রেসটির মালিক কবিরকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, কবিরসহ চক্রের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে এখনও পুলিশ মাঠে রয়েছে।