ফেনীতে শেষ মুহূর্তে হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানি পশুর হাট

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী | 2024-06-16 18:49:25

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানি পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার সরগম হয়ে উঠেছে। শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু থাকলেও ক্রেতার সংকটে ছিলো কোরবানির হাটগুলোতে। শুরুর দিকে গরুর দাম বাড়তি থাকায় শেষদিকের বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিল ক্রেতারা কিন্তু শেষ দিকেও দাম চড়া রয়েছে। শেষ বাজার হওয়াতে বাড়তি দাম হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট ভাবে শেষ হচ্ছে এ বছরের কোরবানির পশুর বাজার।

রোববার (১৬ জুন) ফেনীর ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোরবানি পশুর হাট, মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কসকা বাজার ও শহরের বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে কেনাবেচা। একের পর এক ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে অনবরত দামদর চলছে বেপারি, খামারি কিংবা ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের।

ফাজিলপুর বাজার কমিটির সূত্রে জানা যায়, বাজারে ৫ থেকে ৬ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। শেষদিন হওয়াতে বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে গরু কিনে ফেলছে। এরপরেও দাম ও হাসিল নাগালের মধ্য থাকায় অধিক পরিমান গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু হাটে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। মাঝে দুইদিন গরুর দাম সীমিত ছিল কিন্তু গতকালকের বৃষ্টি পর হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়তি হওয়ার কারনে ক্রেতারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিল যার কারণে শুরুর দিলে বিক্রি কম হলেও শেষ দুই দিনে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।

কালা মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে ৪টি বিক্রি করেছি। বাজারে প্রচুর ক্রেতা আছে। বেচাবিক্রি ভালোই হয়েছে। তিনি জানান, ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু আছে। শেষ মুহুর্তে এসে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

নূর নবী নামের এক খামারি বলেন, হাঁটে ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযর্ন্ত ৪টা গরু বিক্রি করেছি। শুরুতে তেমন ক্রেতা ছিল না যার কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শেষ দুই দিনে গরুগুলো বিক্রি হওয়ায় খুশি।

ফয়সাল মাহমুদ নামে এক ক্রেতা বলেন,রাত পোহালেই কোরবান। বাজারে প্রচুর পরিমাণ গরু উঠেছে। তবে ক্রেতা অন্যদিনের তুলনায় কম। কারণ অনেকে গরু কিনে ফেলেছে। আমাদের রাখার জায়গায় সমস্যা যার কারনে আজ দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির গরু আল্লাহর নামে নিয়ে ফেলেছি।

আরিফ নামের নামের আরেক ক্রেতা বলেন, শুরুতে বাড়তি দাম বাড়তি ছিল, মাঝে কিছুটা কমেছে। তবে শেষ মুহুর্তে দাম আবার বাড়তি রাখছে বিক্রেতারা। হঠাৎ করে গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার বেড়ে গেছে। আমি একটা কিনেছি গরুটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পড়েছে। কিন্তু এর দুদিন আগেও এ গরু ১ লাখ পর্যন্ত মূলামুলি হয়েছে।

সাইফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। শুরুতে দাম নাগালের বাইরে ছিল তাই শেষ দিকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এখন আবারও বেড়ে গেছে।

উল্লেখ্য জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ২০০টি। তারমধ্যে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে ৯০ হাজার ২৫০টি গবাদি পশু। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৮০৪টি গরু, ৫ হাজার ৭২৮টি মহিষ এবং ১৫ হাজার ৭১৮টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত ছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর