রংপুরে চলতি বছরে ধরা পরেছে সাড়ে ৩শ' টন ইলিশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অতি প্রাচীন জেলা রংপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদী। এ বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদীগুলোতে জেলেদের জালে প্রায় ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। একসময় ইলিশের নাম শুনেই মনে হতো এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছ। তবে বর্তমানে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদী গুলোতে বেড়েছে নাব্যতা। ফলে চলতি বছর এই নদীগুলো থেকে মিলেছে সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ। যার পরিমাণ গত দুই বছর আগে ছিল মাত্র ৭০-৮০ টন বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।

রংপুর মৎস্য অধিদপ্তর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রুপালি ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে এর উৎপাদন। তাই উত্তরের নদীগুলোতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। চলতি বছরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী থেকে পাওয়া গেছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ। এসব মাছের ওজন প্রায় আড়াই’শ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত। মৎস্য বিভাগের উদ্যোগ অনুযায়ী এই অঞ্চলে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় জেলেদের সহযোগিতায় দেয়া হবে নগদ অর্থের পাশাপাশি ২৫ কেজি করে চাল।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা জুবায়ের আলী জানান, ইলিশ মূলত সাগরের মাছ। যে সব নদীর সাথে সাগরের যোগ আছে, সেই সব নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়। রংপুর অঞ্চলে বর্ষাকালে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র খরস্রোতা হয়ে থাকে। আর এই পরিবর্তনের ফলে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রে ইলিশ পাওয়া যায়। সাগর থেকে ইলিশ আসে ডিম পাড়তে। এই অঞ্চলে ইলিশের আগমন ঘটাতে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।

তিনি আরও জানান, নদীগুলোকে খরস্রোতা করতে পারলে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণ ও মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।

এ বিষয়ে রংপুর মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলে চলতি বছরে ধরা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ। সরকারের ইলিশ নিধন বন্ধ কার্যক্রমের আওতায় এই অঞ্চলের জেলেদেরও প্রণোদনা দেওয়া হয়।