ভোগান্তি আর অভিযোগে শেষ হচ্ছে ঈদযাত্রা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম | 2024-06-16 23:06:05

সড়কপথে ভোগান্তি আর অভিযোগের মধ্যে দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের ঈদযাত্রা। টিকেট সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় আর সড়কে তীব্র যানজটের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।

ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও, আছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। যদিও পরিবহন শ্রমিকদের দাবি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বেঁধে দেওয়া মূল্যেই টিকেট বিক্রি হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুন) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রংপুরগামী দিনমজুর সাইদুল ইসলাম শ্যামলী পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, রংপুরের ভাড়া ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা হলেও, এখন তারা ভাড়া চাচ্ছে ১৫ থেকে ১৬শ' টাকা। এদিকে ভোরে বাস টার্মিনালে এলেও যাত্রীর চাপ কম থাকায় বাস ১০টার আগে ছাড়বে না বলেছিল কিন্তু এখন বাজে প্রায় সাড়ে ১০টা, অথচ বাসের দেখা নাই।

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কোথাও অভিযোগ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকে অভিযোগ দেবো? অভিযোগ দিয়ে কি কিছু হয়? অভিযোগ দিলে তো আরও উল্টো আমাকে বাস টার্মিনাল থেকেই বের করে দেবে।

সাইদুলের মতো শ্যামলী পরিবহনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে বাস টার্মিনালে এসেছেন তিনি। নন-এসি বাসের টিকেট না পেয়ে একটু আরামে বাড়ি ফিরতে এসি বাসের টিকেট সন্ধান করেন রবিউল। সাধারণত ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় এসি বাসের ভাড়া হলেও, রবিউলের কাছে এখন তা চাওয়া হয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কাউন্টারে জানতে চাইলে তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়—গেলে যান, না গেলে না; ভাড়া ফিক্সড।

জানতে চাইলে গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের ১ নং কাউন্টার ম্যানেজার জিপু বার্তা২৪.কমকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা অনেকটা স্বীকার করে বলেন, দিনাজপুরে সাধারণত এসি বাসের ভাড়া ১৮০০ টাকা, তবে ঈদ যেহেতু গাড়ি ফেরার পথে কোন যাত্রী পাওয়া যায় না, তাই বাধ্য হয়েই কোম্পানি ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা নিচ্ছে। আর নন-এসি বাসের ভাড়া মাত্র ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখানে জিজ্ঞেস না করে কোম্পানির কাছে জিজ্ঞেস করেন ভাই।

এদিকে যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যেন না হয় সেদিকে বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও মাঠের চিত্র ভিন্ন। বাস টার্মিনালগুলোতে বিআরটিএর ভিজিল্যান্স টিম থাকলে তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

গাবতলীতে বিআরটিএর কর্মকর্তারা (মোটরযান পরিদর্শক) অরুণ সরকারের দায়িত্ব থাকার কথা থাকলেও থাকে বুথে পাওয়া যায়নি। বুথ থাকা আরেক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম (মোটরযান পরিদর্শক) বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত পাঁচ দিনে কোন লিখিত জমা পড়েনি। তবে চারটি মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

বিআরটিএর দায়িত্বরত নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মুত্তাসির বিল্লাহর কাছে জানতে তার মুঠোফোনে বার বার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি মোবাইল কল রিসিভ করেননি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর