মানিকগঞ্জে সেতুর নিচে মিলল কাশিমপুর কারাগারের অফিস সহকারীর মরদেহ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ | 2024-06-17 19:41:14

গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের অফিস সহকারী মোঃ শহিদুল ইসলাম খানের মরদেহ মানিকগঞ্জের জাগীর সেতুর নিচে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা হত্যা করে মরদেহ সেতুর ওপর থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার ভাজনদাসগাতী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী মানিকগঞ্জের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি দীর্ঘ দিন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে কর্মরত ছিলেন। দেড় বছর আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে মানিকগঞ্জের ভাড়াবাসায় রেখে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগারে চাকরি করছিলেন।

নিহতের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিয়া মালিহা জানান, তার বাবার সাথে কারো শত্রুতা নেই। ঈদের ছুটিতে গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবা মানিকগঞ্জের উদ্দেশে গাজীপুর থেকে রওনা দেন। রাত ১১ টার দিকে মুঠোফোনে তার সাথে কথা হয়। ওই সময় তার বাবা জানান তিনি বাসে করে মানিকগঞ্জ আসছেন।

এর পর রাত ১২ টার পর থেকে বাবার মোবাইলে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে বাবা বাড়ি ফিরে না আসায় সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। এসময় পুলিশ জানান জাগীর সেতুর নিচে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। খবরটি শোনার পর তার মা শামছুন্নাহার ও ছোট বোন মায়শা ফারহানা জেবাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই মরদেহটি তার বাবার।

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল উদ্দিন জানায়, গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে অফিস সহকারী মোঃ শহিদুল ইসলাম নিখোঁজের ব্যাপারে তার স্ত্রী শামছুন্নাহার একটি জিডি করতে সকালে থানায় আসেন। এসময় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসে জাগীর সেতুর নিচে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তখন মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর স্ত্রী শামছুন্নাহার মরদেহটি তার স্বামীর বলে নিশ্চিত করেন।

ওসি আরো জানান রাতে যে কোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা শহিদুল ইসলামকে হত্যা করে সেতুর ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের চোখ ও মুখে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

এব্যাপারে নিহতের মেয়ে মাহিয়া মালিহা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর