কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিলের ইন্তেকাল

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2024-06-18 01:43:36

কুষ্টিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। আব্দুল জলিল অবিভক্ত কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিলো তার অসংখ্য স্মৃতি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। ২মেয়ে ১ ছেলে নাতী-নাতণীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এই মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ্যাড. আব্দুল জলিলকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা জাসদের সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাযা শেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

গেলো বছর এগারো ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমকে কুষ্টিয়া শহরে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল বলেন, 'দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।'

তবে, 'যে স্বপ্নধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে লাখ প্রাণের বলিদান, সেই স্বপ্নপূরণ এখনও সুদূর পরাহত।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর