৭ দিনের বাচ্চাকে ৯ তলা থেকে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার মায়ের

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ | 2024-06-19 15:26:10

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৭ দিনের নবজাতক শিশুকে ৯ তলা বিল্ডিং থেকে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মা তৃষা বেগম।

পুলিশ জানায়, প্রথমে ঘুমের মধ্যে নিজের সন্তানকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে এমন একটি ঘটনা সাজায় তৃষা। পরে পুলিশের জেরার মুখে নিজেই জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তৃষা৷ এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেছেন। 

বুধবার (১৯ জুন) তৃষা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের পর কিশোরগঞ্জে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরে সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে পুলিশ এবং তার স্বামীর কাছে প্রাথমিকভাবে নবজাতককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ওই নারী।

নিহত শিশু তাসনিদ উসমানের বাবা ডা. উসমান গণি। তিনি সেন্ট্রাল হাসপাতাল নামের একটি স্থানীয় হাসপাতালের মালিক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যপক।

স্থানীয়রা জানান, ডা. উসমান গণির দ্বিতীয় স্ত্রী তৃষা। তাদের পরিবারের বোরাক নামের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাত দিন আগে ডা. উসমান গণির মাধ্যমে সিজারিয়ান অপরেশনের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের পরিবারে কলহ লেগে রয়েছে। প্রায় সময় তাদের বাসা থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাওয়া যেত বলে জানান প্রতিবেশীরা। 

ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তার স্বামী ডা. ওসমান গনি মামলার বাদী হয়েছেন। একমাত্র আসামি তৃষাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তৃষা স্বীকার করেছে নবজাতককে বারান্দার গ্রিল দিয়ে ফেলে দিয়ে নিখোঁজের নাটক করেছে। ৯ তলা থেকে একটি শিশুকে মাটিতে ফেলে দিলে শিশুটি বাঁচার কথা নয়। শিশুর নাকে মুখে শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ওসি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা আরও অধিকতর তদন্ত করব। কী কারণে একজন মা তার সন্তানকে হত্যা করল, বিষয়টি মানসিক না অন্য কোনো ঘটনা আছে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর