মোহাম্মদপুরে বেড়েছে ডাকাতি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪৫

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রকাশ্যে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনয়নের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান এবং নবোদয় হাউজিং হতে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ এবং কিশোর গ্যাং এর সর্বমোট ৪৫ সদস্যকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেংগল, র‍্যাব এবং পুলিশের সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।

সেনাবাহিনী জানায়, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্তির পর থেকে সেনাবাহিনী মোহাম্মদপুর, আদাবর এবং শেরে বাংলা থানাধীন সর্বমোট ১৫২ জন অপরাধী, ১৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ১৭২ ধরনের বিভিন্ন দেশি বিদেশি অস্ত্র, ১টি গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করেছে।

সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের বছিলায় একটি মিনি সুপারশপে চাঞ্চল্যকর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা কয়েকজন চাপাতি হাতে সুপারশপে থাকা দুজনকে জিম্মি করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এবং নবোদয় হাউজিং এলাকায় এক নারীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা পয়সা লুট করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোহাম্মদপুরের প্রতিটি এলাকায় দিনে-দুপুরে অস্ত্রের মুখে ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

এসব ঘটনায় মোহাম্মদপুরে শন্তি ফেরাতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বছিলায় সুপারশপে চাঞ্চল্যকর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামিকেও গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতার ডাকাতের নাম- মো. আসলাম ওরফে রুবেল ওরফে আলম (৩২)।

জানা যায়, শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে শিশুসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে রাতে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘এক শিশুর পাশে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুলি এসে আমার হাতে ও পায়ে লাগে। আর শিশুর গায়েও কয়েকটা লাগে।’

স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

তেজগাঁও জোনের এডিসি মোহাম্মদ জিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলছে। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। আমাদের সক্ষমতার কারণে হয়তো টহল দেওয়াটা দুর্বল হচ্ছে। এটার জন্য আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আজকে থেকেই অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। আমরা টহল জোরদার করার মাধ্যমে মোহাম্মদপুর এলাকার এই ভয়ংকর অবস্থার নিরসন করা হবে।’