লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তার পাড়ে পুলিশের সামনেই চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। জুয়ার আসরে বখাটেদের আনাগোনায় হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ পর্যটকরা।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জিয়া, লিটন, শাহিনসহ কয়েকজন যুবকের নেতৃত্বে বসেছে জমজমাট জুয়ার আসর। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বসেছে ডাবু পিঠে খেলা তাসসহ বিশাল জুয়ার আসর। এতে করে ঘুরতে আসা তরুণ ও যুবকরা জুয়ার দিকে আসক্ত হচ্ছে। জুয়ার এই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
জানা যায়, পুলিশ প্রশাসনের সামনেই জুয়ার আসর চললেও নিরব ভূমিকা পালন করছে তারা। তিস্তা ব্যারেজ এলাকার দুই পাশেই জুয়ার আসর চললেও পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এতে করে ঘুরতে আসা দূর দূরান্তের পর্যটকরা চরম হয়রানি শিকার হচ্ছেন। জন সম্মুখে জুয়ার আসর তলায় সুশীল সমাজের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, বন্ধুদের নিয়ে তিস্তা বাড়িতে ঘুরতে এসেছি। এখানে জুয়া খেলা দেখে আমিও আগ্রহ হই। বাড়ি থেকে যে টাকা পয়সা নিয়ে এসেছিলাম সব জুয়ায় হারিয়েছি।
তিস্তা ব্যারেজে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রকিবুল হাসান বলেন, জলঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে তিস্তা ব্যারেজে ঘুরতে এসেছি। এখানে প্রকাশ্যেই প্রশাসনের সামনেই চলছে জুয়া। এভাবে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় জুয়া চলতে থাকলে পর্যটকরা আসার আগ্রহ হারাবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অন্তর্গত দোয়ানী ক্যাম্প ইনচার্জ মুক্তা সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, জুয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।