ময়মনসিংহে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেফতার ৩ জনের স্বীকারোক্তি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ | 2024-06-19 19:36:08

ময়মনসিংহে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী রাজিয়া খাতুকে (৩০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

উজানপাড়া মাজার থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার তিন যুবকের দুইজন রাজিয়াকে ধর্ষণ করেন। তৃতীয় জন ধর্ষণ হয়ে গেলে রাজিয়া খাতুনকে পানিতে মাথা চুবিয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের একপাশে মাটিচাপা দেয় বলে জানায় পুলিশ।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয় থেকে পাঠানো পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার কোনাপাড়া কইট্রার মোড় এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৫) একই এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (২৬) ও চরনিলক্ষীয়া সাথিয়াপাড়া বড়বাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল ইসলাম (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে সদর উপজেলায় চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সাঁথিয়াপাড়া উজানপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় রাজিয়া খাতুন (৩০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাজিয়া ওই এলাকার মৃত তাহের মিস্ত্রি ও আম্বিয়া খাতুনের মেয়ে।

এই ঘটনার পর ওই দিন নিহত রাজিয়ার মা আম্বিয়া খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে নগরীর মাসকান্দা থেকে একজন ও এর আগে সোমবার রাতে চর নিলক্ষীয়া এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়রা ঘটনার দিন মানসিক ভারসাম্যহীন রাজিয়াকে আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখেছিল। সেই সূত্র ধরে তদন্তকালে তাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তারপর রুহুল আমিন ও আল-আমীনসহ তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রাজিয়া খাতুনকে গত ১২ জুন রাতে চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া মাজার থেকে ডেকে নিয়ে মাজারে পাশে থাকা শুকনা পুকুর পারে নিয়া যায়। প্রথমে রুহুল আমিন এবং আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল প্রথমে রাজিয়া খাতুনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বৃষ্টি আসায় তারা দুইজন মেয়েটিকে মো. আল আমিনের সাথে মাজারে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে বৃষ্টি কমে গেলে মো. আল আমিন রাজিয়া খাতুনকে আবারও নিয়ে যায় এবং রাজিয়া খাতুনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মো. আল আমিন ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রাজিয়া খাতুনকে পুকুরে জমা থাকা পানিতে মাথা চেপে ধরে হত্যার মরদেহ গুম করার জন্য পুকুরের মাঝে থাকা গর্তের ভেতর কাঁদা-মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রেখে চলে যায়।

পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের আদালতে সোর্পদ করা হলে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর