সিলেটে বন্যার পানি কমছে ধীরগতিতে

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট | 2024-06-24 20:04:28

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেট। গেল কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন এই অঞ্চলের মানুষ। তবে সোমবার (২৪ জুন) সকালে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানি কিছুটা বেড়ে যায়।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন-নদ-নদীর পানি খুব ধীরগতিতে কমছে।

এদিন সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৭ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত রয়েছে। আর সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরীর ৩টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলায় ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এরমধ্যে সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ডের ৫০০ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ২৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২০৯ জন মানুষ অবস্থান করছেন। ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩৬৭টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জের ওপর দিয়ে জুড়ি নদী, শেরপুরের ওপর দিয়ে মনু নদী কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হয়। তাই কুশিয়ারা নদীর পানি নামার হার ধীরগতির। এছাড়া নিম্নাঞ্চলের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত তাই পানি ধীরগতিতে নামছে। এখন বৃষ্টিপাত কমে গেলে ও সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমে যাবে।

এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এক ক্ষুদে বার্তায় বলেছেন, আগামী ২৮ জুন সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই সকল প্রকার প্রস্তুতি রাখতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আশা করি পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর