‘ইউপি চেয়ারম্যানরা সরকারি অফিসের সময় অনুযায়ী কাজ করবে’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-29 15:04:27

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৯-৫টা অফিসের কথা বলা হয়নি জানিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বরং তাদের সরকারি অফিসের সময় অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি অফিসের সময় অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এলাকার বাহিরে গেলে অফিসকে জানিয়ে যাবেন। কোথাও দরবার বা অসুবিধার জন্য গেলে সেটাও অফিস সময় হিসেবে গণ্য হবে। আপনারা অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন সেটাও সরকারের জানা আছে। আমার কাছে খবর আছে, অনেক জায়গায় এক মাসে, এক সপ্তাহেও একবার অফিসে যান না চেয়ারম্যানরা।

অনেক জায়গায় কন্ডাক্টর কাজ ফেলে চলে গেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তিনশো টাকার সিমেন্ট হয়ে গেছে ছয়শো টাকা, ৫০-৫৫ হাজার টাকার রড হয়ে গেলো এক লাখ টাকা। এটা তাদের মরণ ফাঁদ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে দিয়েছি। আগে যাদের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে তাদের তো কিছু করার ছিলো না, তাই তাদের মিনিমাম একটা ফাইন করে নতুন করে টেন্ডার করা হয়েছে। সে কারণে একটা সময় ক্ষেপণ হয়ে গেছে।

বর্জ্য এখন বড় একটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন সাউথ কোরিয়া, ফ্রান্সের কথা বলি। তারা যদি সারা দেশে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমরা অনেক সময় কমিটমেন্টের সাথে কাজ করি না। আমি যে দায়িত্বটা নিয়েছি, সেটা তো মানুষ বলেনি, আমি নিয়েছি। আমি যদি কাজটা করি তাহলে উন্নয়ন হবে। আমরা একটা মডেল তৈরি করেছি বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, প্রধানমন্ত্রীও অনুমোদন দিয়েছেন কিন্তু খুবই মন্থর গতিতে হচ্ছে। এটা নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট না।

বাড়ি বানানোর জন্য অনুমোদন লাগবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, পরিপত্র জারি করেছিলাম, কোথাও কোন মসজিদ, মাদরাসা, বাড়ি যাই করেন তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের লোক নাই, ২৫/৩০ হাজার লোকের জন্য ৩ জন লোক আছে। ইউনিয়ন পরিষদের ঘাটতি আছে কিন্তু তারপরও থেমে থাকা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন যা উপভোগ করছি পৃথিবীর এই পরিবর্তন মানুষ করেছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে যারা সুদক্ষভাবে কাজে লাগিয়েছে তারাই এটার সুফল ভোগ করছে। জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এটা সম্ভব বলে নানা আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে পৃথিবী এটা নিশ্চিত হয়েছেন।

ক্যাশলেস করার কারণে আমাদের রেভিনিউ চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে যারা ট্যাক্স দেন তারা চারগুণ বেশি সুবিধা পাবেন। জনগণ টাকা দিবে, কিন্তু কেন দিবে? সে টাকা রোজগার করে, সে কেন টাকা দিবে? কেন এর উত্তর যদি আমি দেই তাহলে কিন্তু সে কনভিন্স হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আপনাকে দেখাতে হবে এই টাকা দেওয়ার বিনিময়ে এই সুবিধা পাবেন। কি কি সুবিধা পাবেন, যেমন পুলিশের মাধ্যমে আপনাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রশাসনের মাধ্যমে যে সেবা পাবেন সেটা কে দিবে? সরকার দিবে। কিন্তু সরকার এই টাকা কোথা থেকে আসবে? জনগণ দিবে।

তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে। মন্ত্রী, এমপি, সচিব সবাই তো এই দেশের মানুষ। দেশ যদি উন্নত হয় তখন অন্য দেশে গেলেও দেশের কথা বলে গর্ববোধ করবেন।

ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেখ আনারকলি পুতুল, স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম ও ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর