আগামী আগস্ট মাসে দেশে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবার বন্যার আশঙ্কা আছে। সবাইকে বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এছাড়া দেশের সব ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ থানার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উন্নয়ন কাজের গতি আনতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণে জোর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পের জন্য যেন একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরে প্রথম তিন মাসে প্রকল্পের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেহেতু বৃষ্টির কারণে মাঠে প্রকল্পের কাজ করা যায় না সেজন্য কাগুজে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।
সারাদেশের যেসব থানা জরাজীর্ণ আছে সেগুলো সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারাই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে কীভাবে হবে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা অঞ্চলের আশে পাশে যেখানে জমি আছে সেগুলোতে চাষাবাদ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন আব্দুস সালাম।
আবাসন প্রকল্পের জন্য অধিকাংশ জমি চলে যাচ্ছে। তবে যেসব জমি এখনও আছে সেগুলো যাতে ফাঁকা পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সব এলাকায় তিন ফসলি বা দো ফসলি জমিতে ফসল ভাল হয় সেসব এলাকায় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ এর বাস্তবায়ন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ সময়ে যেসব প্রকল্পের অনুকূলে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কাজের মান নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব আছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ৪ জুলাই সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত হয়।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।