জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধে প্রাণ গেল কৃষকের

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2024-07-04 12:02:50

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় প্রতিবেশীর চাইনিজ কুড়ালের কোপে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মো.মহিন উদ্দিন (৩৮) নামের এক কৃষক।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলার আন্ডারচর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে, গত মাসের ১৯ জুন দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার আন্ডারচর গ্রামের বশির উল্যাহ বেপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিন উদ্দিন উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আন্ডারচর গ্রামের বশির উল্যাহ বেপারী বাড়ির মো.বশির উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক এবং চার সন্তানের জনক ছিলেন।

নিহতের বড় ভাই মো.মোছলে উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির ৪০০ ফুট উত্তরে ২৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রবিবেশী আবুল বাশারের পরিবারের সাথে বিরোধ চলছিল। গত মাসের ১৯ জুন গভীর রাতে বাশার তার আরো দুই ভাই আব্বাস ও মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আমাদের বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ করে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে আমি সুধারামা থানার পুলিশকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়ায় বাশার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাতে আড়াইটার দিকে আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আমার বাবাসহ পরিবারের ৭ জন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে মহিন উদ্দিনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনায় আমরা ১৯ জনকে আসামি করে সুধারাম থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখমের অভিযোগে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে পুলিশ মামলার কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে। এখন গুরুত্র জখমের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হত্যা মামলার ধারা সংযুক্ত করা হবে। পুলিশ অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর