নিজেদের দক্ষ ও প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে: রাসিক প্রশাসন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অব্যাহত সহযোগিতার পাশাপাশি রাসিককে আগামীতে নিজস্ব অর্থায়ণে পরিচালিত হবার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজেদের আরও দক্ষ ও প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। যা নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবায় আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) নগরীর শাহডাইন কনভেনশন হলরুমে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি জোরদারকরণে ইম্যুনাইজেশন পরিসেবা উন্নতিকল্পে রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী জিআইএস বেইজড ম্যাপিং অ্যান্ড ইপিআই ম্যাইক্রোপ্ল্যানিং শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে নানাক্ষেত্রে সাফল্য। জাতীয় পর্যায়ে ইপিআই কার্যক্রমে ধারাবাহিক সাফল্য রয়েছে। ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন পারফরমেন্স এ্যাওয়ার্ড অর্জন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরার স্বীকৃতি।
রাসিক প্রশাসক বলেন, রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সকলের আন্তরিকতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় রাসিকের সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী প্রজন্ম সুস্থ ও সবল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি সেলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল জিআইএস কনসালটেন্ট হামিদুর রশিদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডাঃ ফারহানা, আইটি স্পেশালিস্ট আবু মোঃ ইসতিয়াক আলী।
সভায় জানানো হয়, জিআইএস মাইক্রোপ্ল্যানিং এর মাধমে ওয়ার্ড এবং ব্লকের ডিজিটাল ম্যাপ, ওয়ার্ড এবং ব্লক ভিত্তিক টিকার কভারেজ এবং বাদ পড়া শিশুর তথ্য পাওয়া যাবে, টিকা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হবে। কোন এলাকা বাদ পড়েছে কি না তা জানা যাবে। ইপিআই স্টোর থেকে টিকা কেন্দ্রের দুরত্ব নির্ধারণ, অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন স্থঅন থেকে টিকা কেন্দ্রের তথ্য পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যকর্মী, সুপারভাইজারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
রাসিকের ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। কর্মশালায় রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, টীম লিডার ও সুপারভাইজরগণ অংশ নেন।