বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে যশোরের নিম্নাঞ্চল

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর | 2024-07-06 21:08:24

টানা বর্ষণে যশোর শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পৌরবাসীদের। এদিন, যশোরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (৬ জুলাই) টানা দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কের কোথাও কোমর পানি, কোথাও হাঁটু পানি জমে।

বৃষ্টি হলেই যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অন্তত ১০ থেকে ১৫টি সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে, আজকের বৃষ্টিতে শহরের প্রায় সব সড়ক তলিয়ে যায়। শহরের খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, ধর্মতলা রোড, আপন মোড়, রাসেল চত্বর মোড়, মুজিব সড়কের রেলগেট এলাকা, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড়, বেজপাড়া চিরুনিকল মোড়,টিবি ক্লিনিক মোড়, মিশনপাড়া, আবরপুর, বিমানবন্দর সড়ক, শংকরপুর চোপদারপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়ার সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ সড়কেই পানি জমেছে। অনেক সড়কে হাঁটুপানি হয়েছে। এছাড়াও পুকুর, মাঠ-ঘাট, পতিত জমি পানিতে ডুবে গেছে।

শহরের ওয়াবদা গ্যারেজ মোড় এলাকার মারুফ হোসেন বলেন, প্রতিবছর সামন্য বৃষ্টি হলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে শুরু করে ওয়াবদা গ্যারেজ মোড় পর্যন্ত পানি উঠে যায়। পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও এ বিষয়ে কোন সমাধান হচ্ছে না।

ওলিয়ার রহমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পৌরসভা যে ড্রেন করেছে তা সঠিক হয়নি। পৌরসভা যদি সঠিকভাবে এ ড্রেন করত তাহলে এ পানি দ্রুত নেমে যেতো।

শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকার আব্দুল মালেক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে আজকে আপন মন থেকে শুরু করে পৌর হকার্স মার্কেট পর্যন্ত পানিতে একাকার হয়ে গেছে।

শহরের ভোলা ট্যাংক রোড এলাকার রিংকু হোসেন বলেন, গত দশ বছরে এমন বৃষ্টি দেখেনি। এ বৃষ্টিতে শহরের বাড়িঘর থেকে শুরু করে সব জায়গায় পানি।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা, নালা সংস্কার ও নির্মাণের জন্য এমজিএসপি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুক্তেশ্বরীর সঙ্গে সংযোগ খাল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর